কবিতাঃ অচিন্ত্য মাজী



অন্তঃসলিলা

দ্রুত কলোচ্ছাসে রঙ লাগে। প্রণয় ভূমিটিকে ঘিরে
আনন্দমঞ্জরী তার কোরক শাখা দোলায়
দূরে পাহাড়ের গায়ে ধূসর মেঘ বর্ষালেখ হয়ে ঝরবে এবার
শোনো শোনো প্রাচীন সমতটে তমোহর হরিতের গুঞ্জন

কেউ কিছুই দিতে পারেনি, চেরা চোখের ছায়া নিয়ে
আরো জখম হয়েছিল উপবাসী পেট। পুরোহিতের চালকলা
বাতাসার পুটঁলির মতো আদিম সম্বলে
বিমোহিত আত্মা সন্তুষ্ট ছিল। তবুও চিৎকার আসে কোথা থেকে?
কঠিন শিলাতট থেকে ছিঁড়ে দেয় তার নাভিমূল
চন্ডালিনীর কুঁড়েঘর জ্বলে, জমির ওপর গেড়ে বসেছিল বলে
ভুটুঙ এর পরিবার সর্বস্বান্ত হয়, তুলসির মালা ছিঁড়ে
গলায় ফাঁস লাগায় ন্যাবা বামুন

কুয়াতলে মোড়ল তখন নাক কাটে, গা ধোয়
ঢিল হয়ে যাওয়া পাৎলুনের দড়িতে শক্ত গিঁঠ দেয়
পানের পিক ফেলে মন্ত্রস্বরে স্বান্তনাবাক্য ধ্বনিত করে

শুধু লজ্জা নিয়ে লাঞ্ছনা নিয়ে নূপুর বেজে ওঠে
রাত্রির নোনা রব ঢেকে জুসনা ফোটে
ঘাম ও রক্তের ভেতর এখনো আত্মস্থ হয়ে আছে বিবেক
কীর্ণ রক্তস্রোতের ভেতর আজ কী যে উড়াল এল
সময় হয়েছে এবার নিউজ হাতে সরাও এই বালি
বালির নিচে বয়ে চলেছে জলধারা
বয়ে চলেছে নাড়ির স্পন্দন
বয়ে চলেছ তুমি

No comments:

Post a Comment

যোগাযোগ ও লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ spartakasmagazine@gmail.com