কবিতাঃ শক্তি কুম্ভকার




মিছিলের স্লোগান হয়ে বেরিয়ে আসছে স্বপ্নেরা

মাঝ আকাশে যখন চাঁদ উঠে যায়
তোমাকে একা করে দেওয়ার চেষ্টায় ওরা থাকে,
গভীর মনযোগের দরকার হয় সেদিন
তোমাদের শোবার ঘরে আলো নিভে যায়
এই নৈশব্দের উপর যেন কেউ থাবা বসাতে না পারে
এভাবেই ছক কষা হয়েছিল একদিন
তারপর কারা যেন এখন হুটহাট ঠুকে পড়ে ঘুমের ভেতর
সব লুটেপুটে নিয়ে যেতে যেতে প্রবল চিৎকারে
তোমাদের বাগানের লংকা, পালংশাক মাড়িয়ে দিয়ে যায়।
এভাবেই প্রয়োজনের বেশি ন্যাংটো হতে হতে
চাদরে ঢাকা লাস বেরিয়ে এসে দাঁত খিঁচিয়ে শুয়ে থাকে।
এতটাও বাস্তব দরকার ছিল না, চাঁদের আলোয়
এখন প্রতিদিন শুনি মিছিলের স্লোগান হয়ে বেরিয়ে আসছে স্বপ্নেরা

কুমড়ো লতাতে ফুল এসেছে নতুন

এতটা রাস্তা হাঁটার পরেও, কোথাও তাকে দেখলাম না
গাছেরা অন্ধকার করে রেখেছে রাস্তা,
তাহলে কীভাবে হারিয়ে যাওয়া মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়?
যোনী থেকে গন্ধও বের হয়ে আসে না এত কাপড়ের ঘেরাটোপ পেরিয়ে
তাই মৌমাছিরা খবর পাবে তারও উপায় নেই
তবু রানী নেফেরটিটির মমি এই রাস্তা দিয়েই পেরিয়ে যায়
বাসে কলেজ ফেরৎ ব্যাগে ফুরিয়ে যাওয়া জলের বোতল।
এতপথ হেঁটে এইটুকুই আমার আনন্দ
ওদের বাড়ির কুমড়ো লতাতে ফুল এসেছে নতুন।


চামচিকে আর বাদুড়েরা মৃত্যু নিয়ে আসে

হাজার হাজার বাদুড়, চামচিকে আসছে মৃত্যু নিয়ে
সেদিন অগ্রহায়ণের দুপুরবেলা আমাদের উঠোনে।
মূমুর্ষু রোগীর অন্তিম নিঃশ্বাসের ঘড়ঘড় শব্দ
উঠোনে রাখা ধানের শীষে গিয়ে আটকে গেল।
এইতো শোয়েটার পরতে হবে এবার,
ভূদেব চাটুজ্যের বাড়িতে পড়তে যেতে হবে।
ঘড়ি, ঘণ্টা ডিঙিয়ে চলা একটা অফুরন্ত বিকেল জুড়ে
শুধু চামচিকে আর বাদুড়েরা মৃত্যু নিয়ে আসে।
বুড়ি গাইটা প্রসব করতে গিয়ে মরে গিয়েছিল
কয়েকদিন ফোটানো বার্লি খেয়ে থেকে আজ তার বাছুরটাও চলে গেল।

No comments:

Post a Comment

যোগাযোগ ও লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ spartakasmagazine@gmail.com