---"এই
সতু, তোর গোঁফটাকেও তো চা-খায়িয়ে দিলি যে !"--বলেই সঞ্জীব খ্যাক খ্যাক করে হেসে
উঠলো। মুহূর্তের মধ্যে আড্ডায় রীতিমত হাসির রোল উঠলো।ভীষণ রকম লজ্জিত হয়ে সতু তৎক্ষণাৎ
তার জিন্সের বাঁ পকেটে হাত ঢুকালো। সর্বনাশ! পকেট যে ফুটো। আর সেই ফুটো গলে কখনই রুমাল
বেপাত্তা। সঙ্গে নিয়ে গেছে কিছু খুচরো পয়সাকেও। অগত্যা ডান হাতের তেলো দিয়ে গোঁফটাকে
একটি বার মুছে নিলো।
গোঁফের আর দোষ
কি। যা বড় হয়েছে ! সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চুল দাড়ির জঙ্গল-- দীর্ঘদিন না কমানোর
ফসল।
এখন বোশেখ এর মাঝামাঝি।বীভৎস গরম পড়েছে এবার।রোজ রোজ দুপুরের
পর থেকে গুমোট টা যেন বাড়ছে। কাল বৈশাখীর দেখা পাত্তা একদমই নেই যে একটু খানি স্বস্তি
মিলবে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস যেন আনাড়ী'র বন্ধুক হাতে টার্গেট প্র্যাকটিস।
চৈতন্যপুর এর এই ইয়ং-স্টার ক্লাবের মাঠে আড্ডা বেশ জমে উঠেছে।
এখানে সবাই প্রায় সম -বয়স্ক। বছর কয়েক হলো এরা প্রত্যেকেই কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডী
পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রের আঙিনায় প্রবেশ করেছে। কেউ চাকরী করে আবার কেউ বা ব্যবসায়।ব্যতিক্রম
শুধু সতু মানে সত্যেন। কোনোমতে কলেজ পাস করে এখন সে সাহিত্যচর্চাকেই পেশা হিসেবে নিতে চায়।
বলতে গেলে কবিতাই তার ধ্যান,জ্ঞান। সকালে ঘুম থেকে উঠে কবিতা নিয়ে ভাবে।খেতে বসে কবিতার
সাথে কথা বলে। এমনকি রাত্রে ঘুমোতে ঘুমোতে কবিতার সঙ্গে তার সখ্যতা। স্বপ্ন দেখে বড়
বড় সাহিত্য মেলায়,সভায় বিখ্যাত সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে স্বরচিত কবিতা পাঠ করে সবাইকে
তাক লাগিয়ে দিচ্ছে কিংবা তার বই বেস্ট সেলারের তকমা পাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই আড্ডার আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ও সফট টার্গেট সেই-ই।
পাটা পিচ ও হাঁটুর নিচে বল যেমন সমস্ত ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের
এর সুখাদ্য। ঠিক তেমনি এই আড্ডার সবার সুখাদ্য হলো এই সত্যেন পাল । যে যেমন
ভাবে পারে ইচ্ছে মত সপাটে ড্রাইভ করে ওকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে সচেষ্ট হয়।
বোশেখের এই তীব্র গুমোটের দরুন প্রায় সবাই শার্ট খুলে স্যান্ডো গেঞ্জি বা
খালি গায়ে চারপাশ থেকে চুঁইয়ে আসা অতি মৃদু শিরশিরে বাতাসের শীতলতা কে মেখে নিতে চায়।
সত্যেন কিন্তু নির্বিকার।এই আবহাওয়াতেও সে ঢোলা একটা পাঞ্জাবি যার বেশ কয়েক জায়গায়
আবার রিপু করা সেটা পরে অদৃশ্য সুপুরী চিবুতে ব্যস্ত।
অদৃশ্য সুপুরি
ব্যাপারটা আর কিছুই নয়। মুখে কিচ্ছুটি থাকে না। এটা একটা মুদ্রা-দোষ। মাঝে সাঝে করে থাকে।
এই বার সঞ্জীব একটা বাউন্সার ছুড়লো, ---- "পাঞ্জাবি খুলে ফেলো কবি,হাওয়া
কো আনে দো।"
সতু জড়সড় হয়ে
বসলো। মাথা খারাপ । পাঞ্জাবি খুললেই তো 'কঙ্কাল কারনামা' নিয়ে এক্ষুনি একটা বক্তৃতা
শুরু হয়ে যাবে। সবাই বলে 206 টি হাড়ের ঠোকাঠুকি তে যেন কবিতার ছন্দ খুঁজে পায় কবি সত্যেন।
শান্তনু একদিন
বলেছিল যে মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে জীবন্ত টিচিং লার্নিং মেটিরিয়াল হিসেবে সত্যেন একদম
অটোমেটিক চয়েস। এই রসিকতায় সবাই সেদিন খুব হেসেছিল।কেবল সতু শুধু চুপ করে বসেছিল কিংবা হয়তো বিরস বদনে ওদের সাথে সাথে একটু
হেসেওছিল।
এই প্যাচপ্যাচে গরম থেকে বাঁচতে এখানে
সবাই দার্জিলিং যাবার প্ল্যান ভাঁজছে। রমেশ হঠাৎ সতুর দিকে ফিরে ফিচকেল একটা হাসি হেসে
বললো,
---"কি
কবি তুমিও যাবে তো আমাদের সাথে?"
---আরে না না,
ওর যেয়ে কাজ নেই। শেষটায় ওখানকার ঠান্ডায় ওর হাড়ের এমন ঠক ঠকানি শুরু হয়ে যাবে যে দু-
চারটে ভেঙে টেঙ্গেও যেতে পারে।"
কবি চুপচাপ- ই থাকলো। কেবল মুচকি একটা হাসি দিয়ে সমবেত জনগণকে
এটা বোঝাবার চেষ্টা করলো যে ব্যাপারটাকে সে রীতিমত উপভোগ করছে।
এমনিতে কথা কম বলা সেই ছোটবেলা থেকেই অভ্যেস কিন্তু আরেকটি কারণ আছে তার
এই মিতভাষী
হওয়ার পেছনে। রমেন বাবুর গুরু মন্ত্র।
কলেজের বাংলা
অধ্যাপক রমেন বাবু ভীষণ রকমের স্নেহ করতেন সতু কে।জহুরী কিন্তু রত্ন কে ঠিকই চিনেছিল।
উনি একটা কথা
প্রায়শই বলতেন, ---"শোন ,যদি সিরিয়াসলি লেখালেখি করতে চাস তবে তোর মনের সমস্ত
ভাব-খানা কথাবার্তাতেই যেন প্রকাশ করে দিস না, কিছু অন্তত রেখে দিস তোর কলমটার জন্য।
উনি এটাও বলতেন, ---"ভালো লেখক
হতে চাস ? তার আগে ভালো শ্রোতা হ।"
এই আড্ডায় সবচেয়ে আক্রমণাত্মক হলো কিন্তু এই সঞ্জীব। 'অ্যাটাক ইজ দা বেস্ট ডিফেন্স'
এই নীতিতে বিশ্বাসী। এখন স্টুডিও পাড়াতে খুব চক্কর মারছে হিরো হবার বাসনায়। দীর্ঘ,প্রশস্ত
বুকের সাথে লেপ্টে থাকা আঁট সাঁট শার্টের উপর দু-পাটি বোতাম খোলা গায়ে পাশের একটা লোহার
রেলিংয়ে বিশেষ কায়দায় ঠেস দিয়ে ধূমায়িত চা ও সিগারেট সহযোগে সঞ্জীব এর কেতাবি ঢং যেকোনো
রূপালি পর্দার নায়ক কে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা র মধ্যে ফেলে দেবে।
ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি হেসে সে বলল, ---" কি কবি,একটা কবিতা
হয়ে যাক।তবে ভাই রসালো চাই কিন্তু।"
---"রসালো
কেন?"
---"ম্যাড়মেড়ে কবিতা শুনলে বমি পায় যে।তোর ওই কবিতায় কেয়া
গললেও আমরা কিন্তু গলছি না।"
বাকিরা সবাই
এ কথায় সায় দিলো।
পুরোনো ঘা টাকে
আবার খুঁচিয়ে তুললো বেহায়াটা। কলেজ লাইফে কেয়া বলে মেয়েটি কিন্তু সত্যিই সতুর কবিতার নাম্বার ওয়ান ফ্যান ছিল।
রাতভোর জেগে দুটো চারটে কবিতা লিখে পরদিন মেয়েটিকে সেগুলো শোনানোর এক অদ্ভুত মাদকতা
তাকে পেয়ে বসেছিল। ভালোও বাসতে শুরু করেছিল তাকে। আর সেও ভীষণ ভাবে চাইতো কেয়াকে। কিন্তু
বিচ্ছেদের লগ্নের সেই কথাটা আজও ক্ষত বিক্ষত করে তোলে, ---"কবিরা শুধুই ক্ষনিকের
ভালোলাগা এদের নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা অচল।"
ডাউন মেমোরি
লেন ধরে হাঁটতে হাঁটতে অনেক পুরনো কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল। ঘোর কাটলো রমেশের খোঁচাতে
,---"হ্যালো কবি,ফিরে এসো বাবা এই লোকে।"
---"দ্যাখ,
যেটাকে তোরা ম্যাড়মেড়ে বলছিস সেটা তোদের বোঝার ভুল।"
---"তবে
বোঝাও।"
---"বাদ
দে,ওই সব জিনিস তোরা বুঝবি না।"...স্ট্রেট ব্যাটে খেললো। কিছুক্ষন নিস্তব্ধতা।
কবি তখন সুপুরি চিবুচ্ছে।আর নিশ্চিত শিকার হাতছাড়া হলে শিকারির যে অবস্থা
হয় সেই দশা সঞ্জীবের। এরপর কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে উঠে পড়লো সতু।চুপচাপ বেরিয়ে এলো
সেখান থেকে । সেটা লক্ষ্য করেই নির্মল তাকে একটু আড়ালে বললো, " এখানে কেন
আসিস তুই? সাহিত্যিকদের আড্ডায় তো যেতে পারিস। তোর তো ভালো লাগবে।"
আমতা আমতা করে
কবি উদাসী ভাবে জবাব দেয়, "সেখানেও কি বাঁচার জো আছে ভাই। সাহিত্যের ওই সকল আড্ডায়
আমার কবিতা শুনে ওরা নিদান দেয় যেন এসব ছেড়ে ছুড়ে গরু,ছাগল চরাই। এবং সেটাই নাকি আমার
মুক্তির পথ।"
একা একা হাঁটতে হাঁটতে কখন যেন সে গ্রামের গাঁ ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়া হুগলি
নদীর পাড়ে এসে পৌঁছেছে । নদীটা এখানে বিশাল একটা বাঁক নিয়েছে।এখন জোয়ারের সময়। নদীর
ঘোলা,কাদা মাখা জল ছলকে ছলকে পাড়ে বসা সত্যেনের পা দুটোকে বারে বারে স্পর্শ করে যাচ্ছে।
ওর পাশে বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে সবুজ ঘাসের অঞ্চল। যেন সবুজ চাদর। পরনের পাঞ্জাবিটাকে
এক ঝটকায় খুলে ফেলে আদুল গায়ে সেই সবুজ চাদরে গা-খানা এলিয়ে দিল। নদীর ঝির ঝিরে ঠান্ডা
বাতাস এতক্ষণ চেপে বসা জমাট ক্ষোভ,দুঃখ কে অনেক খানি প্রশমিত করলো।
মাথার উপরে এখন শুধুই তারাভরা আকাশ। তারাগুলোকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে।
ওর আরও ইচ্ছে করে তারাদের দলে হারিয়ে যেতে। লক্ষ,লক্ষ,কোটি ,কোটি তারাদের মাঝে সেও
একটা তারা হয়ে সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড কে নিজের উজ্জ্বল উপস্থিতির জানান দিতে চায়। গলা
ফাটিয়ে চিৎকার করে বলতে চায়, "আমারও দীপ্তি আছে।"
হঠাৎ নদী বক্ষ থেকে তীব্র হুটারের ধ্বনি কানে এলো। চমকে দেখলো
ধীর গতিতে একটি পণ্যবাহী জাহাজ আলোঝলমলে বেশে কলকাতা বন্দর থেকে পাড়ি দিয়ে তার ই দিকে
এগিয়ে আসছে। জাহাজটি তাকে পাশ কাটিয়ে এই হুগলি নদীর জোয়ারের স্রোতে গভীর সমুদ্রের পথে
মিলিয়ে গেল।
বড্ড লোভ দেখায়
এই জাহাজগুলো। সতুর ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে এই জাহাজে চেপে বসতে।তারপর ভেসে ভেসে বেড়াবে
নতুন নতুন দেশে। সে সব দেশের কথা,সেখানকার মানুষের কথা জানবে।লিখবে। সত্যিই বিপুলায়তন এই
পৃথিবীর কত কিছুই না জানতে বাকি এখনও।
ভাবনার শিকড় গভীর থেকে গভীরতর হওয়ার পথে হঠাৎ বাধা। পকেটে রাখা
ছোট্ট ফোনটি বে -রসিক ভাবে বেজে উঠলো। বাবার রাগী মুখটা মনে পড়তে লাগলো। অগত্যা বাড়ির পথে
রওনা দিল ।
সত্যেন পালের খেদের যেন অন্ত নেই। ভবিষ্যৎ জীবন
সম্পর্কে অনীহা এবং সাহিত্য ব্যতিরেকে অন্য সব কিছুর থেকে নিস্পৃহতার দরুন চারপাশ থেকে
ধেয়ে আসা অসংখ্য বক্রোক্তি, ব্যাঙ্গক্তির যেন কোনো উত্তর নেই তার। কেবলই বাক্য-হজম।
গোদের উপর বিষফোঁড়া বাবার নিত্যদিনের
অগ্নি-বান। পিতার সাবধান বাণীতে নবীন এ যুবার বিশেষ ভাবান্তর ঘটে না।যখন নিজের জগৎ
থেকে কেউই তাকে বিচ্যুত করতে পারে না তখন ছেলের এই খামখেয়ালিপনাকে দূর করার জন্য একে
ওকে ধরাধরি করে একটা কাজের বন্দোবস্তও করে দেন। কিন্তু বাঁধা গতে কবির মন টিকলো
না। ছেড়ে দিল কাজটি।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় স্বীকৃতি না পাওয়ার বেদনা।
আজকাল এই এলাকায় বিভিন্ন স্বঘোষিত ও
দিশাহীন সাহিত্য গ্রূপ গড়ে উঠেছে। গ্রূপে নাম লেখাও। চাটুকারবৃত্তিতে কুশলী হও। তাহলেই
যেন সাহিত্যসৃষ্টির ডালপালা গুলো পর্যাপ্ত বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। নচেৎ নয়। নবীন
এই কবি যেন এই ধরণের সাহিত্য অঙ্গনে একেবারে বেমানান।সেটা সে টের পেল সতীশ বাবুর বাড়িতে একটা সাহিত্য-
আড্ডায় গিয়ে। সুস্থ সাহিত্য চর্চা তো দূরে থাক বরিষ্ঠ কিছু সাহিত্যিকদের নির্লজ্জ
আত্মপ্রচার, অন্যান্যদের উৎসাহপ্রদানে অনীহা এবং পারস্পরিক কূটকাচালিতেই যেন মত্ত ওরা। ওই সভায় তাকে নিয়ে একপ্রস্থ টানা হ্যাঁচড়ার
পর , বসবার ঘরের সুদৃশ্য বেলজিয়াম গ্লাসে নিজেকে একটা নধর পাঁঠা মনে হচ্ছিল। ইয়া বড় বড় কান। কানে হাত দিয়ে দেখে
সবই ঠিকই আছে। হয়তো হ্যালুসিনেশন কিংবা বিদেশি কাঁচের কারসাজি। কে জানে !
এ পরিবেশে সে
একদমই অভ্যস্ত নয়। অভ্যস্ত নয় সোশ্যাল মিডিয়াতে সাহিত্যচর্চার যে হিড়িক চলছে সেটাতেও।
সত্যি কথা বলতে কি অন্তর্জালের এই ভার্চুয়্যাল জগৎ তার কাছে একটা প্রহেলিকা ।আর নিজস্ব
কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ তো সুদূরের নীহারিকা।
ঠাঁই নাই। ঠাঁই নাই।
সুতরাং পারিবারিক ও সামাজিক সাঁড়াশি চাপে মায়াবী,স্বপ্নালু চোখের নিচে
দিন দিন কালি পড়ছিল। আর দাঁড়িপাল্লায় নিজের ওজনের চেয়ে অবসাদ ক্রমশ ভারী হচ্ছিল।
#
হঠাৎ এক সকালে
সত্যেনের মা আবিষ্কার করলেন ভোর থেকেই তাঁর ছেলে মোটা আর্ট পেপারে কবিতা লিখে চলছে সঙ্গে আঁকি বুকি। বিরামহীন। ক্লান্তি হীন।
তারপর সেগুলোকে দুটি কি তিনটি ভাঁজে সাজিয়ে রাখছে পরম যত্নে। ঘরময় পান্ডুলিপিতে ছড়া ছড়ি।
কারণ জিজ্ঞাসা
করতেই বিজয়ীর হাসি হেসে কবি দৃপ্ত কন্ঠে জবাব দেয়, ---" জানো মা, আজ থেকে জেলা
সদরে বইমেলা শুরু হচ্ছে। আমি কিন্তু মেলার মাঠে বসেই টাটকা কবিতা বিক্রি করবো। হাতে
লেখা। কেউ দাম দিতে চাইলে নেব নাহলে ফ্রীতেই।
আমি হারছি না।"
বলেই নবীন এই
কবি জ্বল জ্বল চোখে তার সেই চিরপরিচিত চোয়াল কাঁপিয়ে অদৃশ্য সুপুরি চিবুতে ব্যস্ত হয়ে
পড়লো।
স্নানান্তে ভেজা
একটা গামছা কে মাথায় পরিপাটি করে জড়িয়ে সত্যেনের মা তখন ছেলের এই মহান কীর্তিতে রীতিমত হতবাক। তারপর মুখ টিপে হেসে ঘাড় নাড়তে নাড়তে রান্না ঘরের দিকে পা বাড়ালেন।
No comments:
Post a Comment