ব্ল্যাক হোল
বারো তলার ছাতে দাঁড়িয়েও সেখানে
প্রভাতসূর্য কিংবা অস্তরবির
আলো
চোখে পড়ে না । তবু , জায়গাটার নাম
সানভিউ-পার্ক ।
বুক ফুলিয়েই সকলে রাস্তায় হাঁটে বটে,
কিন্তু সারাক্ষণই তাদের ঘিরে থাকে
পিন ফোটার ভয় ।
চোখে পড়ে না । তবু , জায়গাটার নাম
সানভিউ-পার্ক ।
বুক ফুলিয়েই সকলে রাস্তায় হাঁটে বটে,
কিন্তু সারাক্ষণই তাদের ঘিরে থাকে
পিন ফোটার ভয় ।
কিংবদন্তি আছে একসময় দলবেঁধে হরিণ
জল খেতে নামত সেখানে। শালের গুঁড়িতে
কালেভদ্রে দেখা যেত বাঘের আঁচড় ।
মহুয়ার নেশায় মাতাল ভালুক মাটিতে গড়াত,
সান্ধ্য মজলিশ জমিয়ে তুলত চড়ুই শালিখ
বুলবুলি ছাতার। এখন
বারোতলার ছোট ছোট স্বর্গে দিনরাত্রি একাকার
পৃথিবীর সব রং ধীরে ধীরে মুছে গেলে
বারোতলার ছাত থেকে মাঝে মাঝে ঝাঁপ দেয়
অদ্ভুত আঁধার ।
কাম
১.
অপেক্ষা বাহুল্যমাত্র,পৃথিবীর জ্বর ।
ফুল হয়ে ফুটবার আগেই
কারা রোজ টেনে টেনে পাপড়ি খুলে
বের করে নিতে চায় কোরক-কেশর
ছেঁড়াখোড়া পদ্মের কলি----প্রতিদিন
নষ্ট হয়ে যেতে থাকে আমাদের প্রার্থিত অঞ্জলি ।
২.
প্রাপকের হাতে পৌঁছানোর আগেই
খাম খুলে পড়ে নিয়েছে কেউ ।
ধ্বস্ত ক্লান্ত মথিত অক্ষর নিংড়ে
এক ফোঁটা পিপাসার জল না পেয়ে
কেবলি নোংরা করে ফেলেছে কাগজ
খামখোলা-চিঠি,ঠিকানায় যার নাম লেখা
সেই জানে অক্ষরের প্রকৃত শুশ্রূষা ।
ভুল হাতে ছিঁড়ে ফেলা খাম----
মগ্নতা ছিল না তাতে ;ছিল শুধু অসংবৃত কাম।
No comments:
Post a Comment