প্রণয়
অনিবার্য ভ্রু-ভঙ্গিমায় নিহিত রাতের নিকষ অন্ধকার
থেকে
আলো চুরি করে আনা জোনাকিরা বোঝে রাতের বর্ণমালা
রাতচরা পাখিদের ডানায় ডানায় তখন ভাদরের সারমেয় সঙ্গম
লালাঝরা দিনের গায়ে লিখিত হয়ে চলে গোপন সব সংবাদ।
সঙ্গম শেষে পড়ে থাকে যে রাত্রির খোলশ, চরম সব মুহূর্তকাল
তার দিকে চেয়ে রাত ভোর হয়, অর্জুন গাছে জেগে থাকে
প্যাঁচা
বৃদ্ধ তারারা খসে পড়ে অনিবার্য পতনের সমস্ত সূত্রের
কৃপায়।
চুপটি করে বসে থাকে রাতের বাসরে জেগে থাকা দীর্ঘ প্রণয়
তলিয়ে যায় সমস্ত দিন, জেগে থাকে কেবল আত্ম সমীক্ষার
আলো।
চিরায়ত
নিষিদ্ধ অক্ষরের গায়ে ঝুঁকে থাকা বর্ণমালার বহুরুপ
সমাহার
উদাত্ত ভালোবাসার কাটাকুটি খেলায় মেলে ধরে বিষাদ
দিন
মন নিয়ে দোলাচল চাতকের হা-হুতাশ বৃষ্টি পানের নেশা
হৃদয়ের গভীরে লিখে যায় মুখভার মেঘেদের সাংসারিক
গাঁথা।
ভালো থাকা না থাকার সংশয়ে ফুটে ওঠা পারিজাতের গন্ধে
স্বর্ণময় আভা বিচ্ছুরিত করে প্রিয় অক্ষরে বোনা কাব্যগুন
লিখিত হয় আনন্দরূপ ঈশ্বর; হৃদয় জারিত মানসপ্রতিমা।
গান ভেসে ওঠে আজো চিরায়ত আলোর দৃষ্টিভ্রম রেখায়
শালুক ফুটেছে ডোবায়, হাঁসেরা খুঁটে খায় প্রেম প্রিয়
বাংলায়।
বিরহী কান্না
বাতাসের গায়ে জড়িয়ে থাকুক ভোরের ঘুম
সুখে থাকা দিনান্তের অসহ বেদনার গান
নির্বিকার আলোছায়া ফেলে যায় পত্র-পুষ্পের সঙ্গমে
তন্ময় ধমনীস্রোত বেয়ে বয়ে চলে অন্ধ রাত্রির প্রহর।
নিভৃতের প্রহর জুড়ে ভেঙে ভেঙে পড়ে নৈশব্দের গুন।
প্রেমিকার উদাস্তু হৃদয়ে তখন ঘন শীত তীব্র পৌষমাস
কেবল শিশির ঝেঁপে আগন্তুকের দেমাকী পায়ের ছাপ।
তফাৎ যাক তীব্র অনুশোচনায় গাঢ় ফাগুনের রঙ
বাতাসেও প্রেম থাকে, মিশে থাকে বিরহীর কান্নার গৌরব।
No comments:
Post a Comment