কবিতাঃ কৌস্তভ কুন্ডু


নিজস্ব সংবাদদাতা 

অনেক চর্চার পর। নিয়ত যুন্ধের পর। নিজেকে মাংস ছোলা ছুলে টাঙিয়ে দেবার পর। বন্দেমাতরম লেখার পর। বিছানার তলায় ডিনামাইট স্টিক, মাটির তলায় রাইফেল ও তারপর লাশ লুকিয়ে রাখার পর। একটা গ্রামকে জন শূন্য করে শেষ দৃশ্যে নদীর চর দেখানোর পর। পাহাড়ে জঙ্গলে বুক সাঁতার দেওয়ার পর। অপু দুর্গা শঙ্কর মুদির পর । ইলেকশনের পর, সিলেকশনের পর ...

মানুষ যখন দ্যাখে
সে আদপে কিছুই করে উঠতে পারেনি –
ভুত হয়ে যায়।

ভুত এরকমই ।
কখন কোথায় কিভাবে
জমাট বাঁধে ছায়ামূর্তিরা
  জানতে দ্যায় না কাউকেই।

আপাতদৃষ্টিতে 

অধিক সঙ্গমে মেরুদণ্ড শক্ত হয়; 
একসাথে ব্যায়াম ও সংযম ধারালো হয় কিছুটা।
অভ্যস্ত মাতালেরা টাল খায় কম,
স্টিয়ারিং সোজা থাকে কিছু কিছু হাতে ।
মুখ থেকে নির্গত বায়ু
বেলুন ফোলাতে পারে কিছুটা,
দম লাগে বাঁশি, মাউথ অর্গান অথবা শঙ্খ বাজাতেও।
ইতিহাস থেকে পেছতে পেছতে
একসময় শীতল অন্ধকারে জড়িয়ে যায় পা।
জাঁতাকলে পড়া ইঁদুর
মুহুর্তকাল দিগবিদিক শূন্য দ্যাখে  
তারপর যন্ত্রণা হয়,
যুগপৎ ভয় ও মুক্তির জন্য ছটপট করে কিছুক্ষণ,
মারা যায় ।
বীর্যপাতের পর শিম্নটিও সাড়াহীন হয়,
জরায়ু আকর্ষণ হারায়।
এ পৃথিবী মেঘলা হয়ে এলে
বাদল পোকারা ঝাঁপ দেয় জ্বলন্ত আগুনে। 
              
রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া গল্প 

বৃদ্ধ গাছটি দেখছিল
             স্নানরতা মেয়েটির স্তন। 
তার প্রগাঢ় বাদামি রঙ
       স্তনবৃন্তে কেঁপে ওঠা অহংকার।
স্তনের গা ঘেঁষে তখন
         বাতাস ঝাঁপ দিচ্ছিল  জলে।
জলে মেয়েটির ছায়া
       আশ্চর্য রকমের সবুজ ছিলো।
বুড়ো গাছ
খুক খুক করে কেশে উঠেছিল কিছুক্ষণ।
তারপর লোক জানাজানি হতেই,
মেয়েটিও ঝাঁপিয়ে পড়ে জলে। 
ডুব সাঁতারে ঢেকে দেয় অহংকার।
বৃদ্ধ গাছটি
তার রুক্ষ শাখার দিকে তাকায়
দ্যাখে
জলে কোনো ছায়া পড়েনি তার।

No comments:

Post a Comment

যোগাযোগ ও লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ spartakasmagazine@gmail.com