ক্ষুদ্র
জলাশয়ে
নীচু একটা লোক,
ক্ষুদ্র জলাশয়ের মতো
মাটিতে পড়ে
আছে- স্বভাববশত
শালুক ফুটে
রয়েছে, চাঁদ ভেসে রয়েছে, লজ্জাবতী
জড়িয়ে জড়িয়ে
ধরছে- ধরে রাখতে পারছে না,
মকমক করে ডাকছে
ব্যাং, শামুক
অতিশয় ধীরে
উঠতে চাইছে ওপরে,
অল্প বাতাসে
দুলছে তরল জীবন।
চৌকাঠ পুড়ে
যাচ্ছে
অকালমৃতার পায়ের
কাছে বসে আছে
তুলোর বেড়াল।
এইমাত্র কথা
বলছিল, তার
ঠোঁটের পাশে
লিলি ফুলের শ্রান্তিতে
ফুটে ছিল কয়েক
বিন্দু ঘাম, চোখের পাতায়
জানালা পেরিয়ে
তাকিয়ে থাকা
দূরের দৃষ্টি
এখনও তাকিয়ে রয়েছে, নীলসাদায়
নিটোল বিশ্বাস।
ভাবি, ভাবতে
পারি না। ঠান্ডায় রোদে
চৌকাঠ পুড়ে
যাচ্ছে।
সংখ্যালঘুর
কবিতা
আমাকে মানুষ
ভেবে ভুল করছেন বন্ধুরা,
যেদিকে আপনাদের
কোন প্রয়োজন নেই
সেরকম এক পরিত্যক্ত
কচুজঙ্গলের আড়ালে
নিতান্ত একটা
ব্যাঙ
সেই কখন ঘর
ফেলে বেরিয়ে এসে
রুক্ষ গলদেশ
ফুলিয়ে ফুলিয়ে
সঙগিনীকে ডেকেই
চলেছি,
সেও তো সেই
বিষণ্ণ সাপিনি---ক্ষুধার্ত
আজ তার মুখের
ভিতর ঢুকে গিয়ে
অন্তত মৃত্যুর
মতো আশ্রয় নেব কয়েক মুহূর্ত,
জানি তার মরণ
হবে শেষে
আমারই বিষাক্ত
শরীরের অভিশপ্ত রসের ক্ষরণে।
চুম্বক কোথায়
নেই
পৃথিবী মধ্যিখান
থেকে দু-টুক রো হয়ে
দু-দিকে পড়ে
আছে, দুটি স্তন, দুই প্রান্তে
চুম্বক রেখেছ।
হাওয়া ঘুরপাক খেয়েও
গোলাকারে ফিরে
আসে, বুকের ওপর
মুখ রেখে ফিসফিস
করে, ভেতরে
ঢুকতে চেয়ে
ফুঁসে উঠে ঘুর্ণী তোলে। চুম্বকের বাহু
সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত
গ্রীবা
মাটি ও আকাশের
ঊরুর মাঝে
টেনে এনে নামিয়া
দেয়- মীনযোনি
হাঁ খুলে তাকিয়ে
থাকে। চুম্বক
কোথায় নেই! নাভিতে কীসের এত আকর্ষণ!
No comments:
Post a Comment